কোরবানির ঈদে মাংস সংরক্ষণ করার আলাদা একটা ঝামেলা থাকে। দেখা যায় যে, অনেক মাংস সংরক্ষণ করতে হয়। সেক্ষেত্রে মাংস এমনভাবে সংরক্ষণ করা উচিত যাতে অনেক দিন ভালো থাকে। রেফ্রিজারেশন পদ্ধতিতে মাংস সংরক্ষণ করার দুই রকম নিয়ম জেনে নিন।
পদ্ধতি এক. মাংসে চর্বি যত কম থাকে, তত বেশিদিন ভালো থাকে। সংরক্ষণের আগে মাংস থেকে রক্ত, চর্বি, পানি পরিষ্কার করে নিতে হবে। যাতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে না পারে। মাংস বেশি মোটা করে না কেটে স্লাইস করে রাখলে বেশিদিন ভালো থাকে। স্লাইস করে কাটা মাংস ছোট ছোট প্যাকেটে সংরক্ষণ করতে পারেন।জিপলক ব্যাগ ব্যবহার করলে বেশি ভালো। এ ছাড়া মাংস সংরক্ষণে বিভিন্ন প্লাস্টিক ব্যাগ বা বক্স ব্যবহার না করে ভ্যাকিউম-সিল্ড ব্যাগ ব্যবহার করা সর্বোত্তম। ফ্রিজে রাখার পর মাংস শক্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় দিতে হবে, তার আগে ফ্রিজ খোলা যাবে না। শক্ত হওয়ার আগে মাংস বাতাসের সংস্পর্শে আসলে বেশিদিন ভালো থাকে না। শূন্য ডিগ্রি ফারেনহাইটে থাকলে মাংস প্রায় এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে।
পদ্ধতি দুই. ড্রাইং পদ্ধতি মাংস সংরক্ষণ করার একটি পুরনো পদ্ধতি। রোদে শুকিয়ে বা চুলায় জ্বাল দিয়ে ৭০ থেকে ৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় মাংসের সম্পূর্ণ পানি শুকিয়ে নিতে হবে। এ পদ্ধতিতে মাংসের চর্বি ফেলে পাতলা করে কেটে ভ্যাকিউম-সিল্ড করে ফ্রিজে এক বছর পর্যন্ত রাখা যায়। চিকিৎসকেরা বলেন, মাংস বেশিদিন ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। মাংসের খাদ্যগুণ ঠিক রাখার জন্য ১ বছর পর্যন্ত না রেখে রেফ্রিজারেটরে গরুর মাংস ৫ থেকে ৬ মাস রাখতে পারেন। খাসির মাংস ৪ থেকে ৫ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যেতে পারে। উট ও মহিষের মাংস ৩ থেকে ৪ মাস রাখা যাবে। ভেড়ার মাংস রাখা যাবে ২ থেকে ৩ মাস পর্যন্ত।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন